বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট ক্ষেত্রে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, পাট শিল্পের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পাট খাতের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন বস্ত্র খাতে না হয়। তিনি বলেন, পাট শিল্পে অতীতে অদক্ষতা, অযোগ্যতা, দুর্বৃত্তায়ন ও অব্যবস্থাপনার কারণে শিল্পটি ধ্বংসের মুখে পড়েছিল। কিছু স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, যা বাস্তবের সঙ্গে মিল ছিল না। এখন এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ঢেলে সাজাতে চান তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, ‘আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। আমাদের সিদ্ধান্ত হবে বাস্তবতার ভিত্তিতে।’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে আয়োজিত ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড রেইনভেনশন: ক্রিয়েটিং স্কিল্ড প্রফেশনালস ফর দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব বিলকিস জাহান রিমি। এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বস্ত্র শিল্পের প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’।
বাণিজ্য উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, দেশের বস্ত্র খাত এখন শুধু একটি শিল্প নয়, এটি অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এই শিল্প দেশের প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্য করছি। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য শিল্প, একাডেমিয়া ও নীতিনির্ধারকদের একযোগে কাজ করতে হবে। যদি সক্ষমতা বৃদ্ধি না হয়, তবে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে পিছিয়ে পড়তে পারে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য যেমন ক্রুড অয়েল সংগ্রহ করে, তারাই আমাদের ১৮ কোটি মানুষ। এই মানবসম্পদকে দক্ষ করে তুললে বস্ত্রশিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে ও অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনাময় দ্বার খুলবে।’
পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগের দ্রুত প্রসারে সরকার একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। একটি রিভলভিং ফান্ড গঠিত হয়েছে, যেখানে ১৬০০ এর বেশি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করছে। এই ফান্ডের আওতায় পাটপণ্য ক্রয় করে পুনরায় বিক্রি করা হচ্ছে, যা বাজারে সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করছে।
তিনি জানান, এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০ লাখ পাটের ব্যাগ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী পাটের ব্যাগকে আবার মূলধারায় ফিরিয়ে আনাই সরকারের মূল লক্ষ্য।






