আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দেশে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, যখন দেশ গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং নতুন অধ্যায়ে প্রবেশের chuẩnত, ঠিক তখনই বাংলাদেশের শত্রুরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, গত কিছুদিনে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, নির্বাচন পরিস্থিতি সামনে রেখে এমন অপ্রয়োজনীয় সহিংসতা এবং ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ইতিহাসের দিন। একাত্তরের এই দিনটিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা দেশকে মেধাশূন্য করে দিতে নানা ধরনের চক্রান্ত চালিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি রোমন্থন করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিজয়ের খুব কাছাকাছি আসার মুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদাররা জাতিকে নিধন করতে পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালেও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে তিনি তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ও মহানগর উত্তর দলের সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ দলের বিভিন্ন শীর্ষ নেতা।






