পেঁয়াজের মূল্য Stabilize করতে সরকার এবার ভারত থেকে দৈনিক ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রথম দিনেই অর্থাৎ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০০টি ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করেছে, যা দিয়ে প্রত্যেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। প্রত্যেক আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টনের পেঁয়াজ আনা যাবে, এর বেশি নয়।
এই ধরনের অনুমোদনের মাধ্যমে সরকার মোট ১৯ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে। এর আগে, ৭ ডিসেম্বর, ভারত থেকে দৈনিক ৫০টি আইপি দ্বারা দেড় হাজার টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে দেশের বাজারের দাম নিয়ে উদ্বেগ থাকায়, আমদানি শুরুর আট দিনের মধ্যেই সরকার এই পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক বনি আমিন খান জানিয়েছেন, এই ব্যাপক অনুমোদনের ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) বাজার তথ্য অনুসারে, ঢাকাতেও বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১৪০ টাকা। ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বাজার তথ্য অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজের সর্বনিম্ন দাম ৯০ টাকার কাছাকাছি এবং সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা।
উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্টল বন্দর দিয়ে দেশের বাজারে প্রবেশ করলেও, টিসিবি এখনও এই আমদানিকৃত পেঁয়াজের বাজার দর সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। সরকার নির্ধারিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি চলমান থাকায়, দেশের সবক্ষেত্রে দাম আরও নিয়ন্ত্রণে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হচ্ছে।






