অ্যাডিলেড ওভালে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জয় ছুঁয়ে দেখানোর দর্শনীয় সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার শক্তিমত্তার সামনে হার মানতে হলো ইংল্যান্ডকে। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ডের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা ইংল্যান্ড দল ৪৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য পেরোতে পারেনি। তারা ৩৫২ রানে অলআউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে বাধ্য হলো, আর এর ফলে সিরিজে তাদের পিছিয়ে পড়তে হলো ৩-০ ব্যবধানে। মাত্র ১১ দিনের মধ্যে সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার দাপট প্রমাণ হয়েছে, এদিকে ইংল্যান্ডের জন্য এটি এক চরম লজ্জার পরিস্থিতি। এই হারে ইংল্যান্ডের জন্য টানা ১৪ বছর জয়হীনতার খরা আরও দীর্ঘায়িত হলো, কারণ তারা দেশটিতে শেষ ১৮ ম্যাচের মধ্যে একটি জেতার দেখা পায়নি। মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও অজি স্পিনার নাথান লায়নের চোটের কারণে কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও, শেষ পর্যন্ত মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের দারুণ বোলিংয়ের তোপে তা ভেস্তে যায়। জেমি স্মিথ ৬০ এবং উইল জ্যাকস ৪৭ রান করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এই হারে অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ডের জয়হীন থাকা অব্যাহত থাকল, যা ১৪ বছর ধরে চলমান এক লজ্জাদায়ক পরিসংখ্যান। সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক বেন স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ‘বাজবল’ কৌশল নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়েছিল, তবে মাঠে সেটা পুরোপুরি ব্যর্থ হলো। ভুল দল নির্বাচন, প্রস্তুতির অভাব ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ মিসের জন্য কঠিন মূল্য দিতে হয়েছে। অন্যদিকে, নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও জশ হেইজেলউডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বোলারদের অনুপস্থিতিতেও অস্ট্রেলিয়া দলের পারফরম্যান্স দারুণ ছিল, যা প্রশংসার দাবি রাখে। আগামী ম্যাচগুলো মেলবোর্ন ও সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের ভয়ংকর শঙ্কা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ডের।






