গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল ব্যস্ত সময় পার করছে। দেশের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে তারা নিজেদের দক্ষতা এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করছে। সব মিলিয়ে তারা ইতিমধ্যেই নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করে ফেলেছে। এখন তাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হলো ভুটানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গত শুক্রবার বাংলাদেশ দল ভুটানে পৌঁছে। এরপর গত শনিবার সকালের প্রথম অনুশীলন পর্বে তারা মাঠে নেমে প্রশিক্ষণ শুরু করে। দলের সদস্য উম্মে কুলসুম জানান, এইবারের মূল লক্ষ্য হলো শিরোপা জেতা এবং শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরে আসা।
ভুটানের থিম্পুর বাবেনা গ্রাউন্ডে গত sábado সকালে প্রথম অনুশীলনে অংশ নেয় বাংলাদেশ দল। নতুন আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে কিছুটা কষ্ট হলেও তারা সচেষ্ট হচ্ছে পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার। দলের আরেক সদস্য কুলসুম বলেন, ‘সবারই সুস্থ থাকা জরুরি। এখানে প্রথম দিন হওয়ায় কিছুটা অসুবিধা হলেও আমরা সতর্কতার সাথে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি। আগামীকালও আমরা অনুশীলন চালিয়ে যাবো। আমাদের মূল লক্ষ্য এখন ফাইনালে পৌঁছানো ও চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’
অন্তর্ভুক্ত এই টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে ২০ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে অংশ নেবে চারটি দল—বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও স্বাগতিক ভুটান। ডাবল রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে প্রতিটি দল দুইবার করে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হবে। শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট সংগ্রাহক দল শিরোপা জিতবে। এই ধরণের প্রতিযোগিতা আগে দেখা গেছে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ দল এই টুর্নামেন্টের পাঁচ দিন আগে জাতীয় দলে পৌঁছেছে। এর মূল কারণ হলো সক্ষমতা অর্জন এবং স্বাগতিক দলের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকা। দলের টিম ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থা ভালো। আমরা টুর্নামেন্টের কয়েক দিন আগে এসেছি, যাতে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে পারি। এখানে প্রচুর বৃষ্টি হলেও আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। প্রথম ম্যাচটা আমাদের স্বাগতিক ভুটানের সাথে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আগে এসে আমাদের সুবিধা হয়েছে বলে মনে করি।’
২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশে হয়েছিল। ঐ সময় অতিথি হিসেবে রাশিয়া দলও অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশের দল শেষ পর্যন্ত পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে রানার্সআপ হয়। তবে এবার অতিথি দলের পরিবর্তে একাদশে থাকছেন শুধুমাত্র বাংলাদেশ। তাই প্রত্যাশা, এইবার তারা শিরোপা জিতবে এবং স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে।