বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, বিডা শুধুমাত্র সাধারণ সরকারি দপ্তর নয় বরং এটি বিশেষায়িত সংস্থা যেকার্য্য বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সাড়া দেওয়া। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই বিডাকেও এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
রোববার রাজধানী আগারগাঁওয়ে মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত বিডার পুনর্বিন্যাসকৃত সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে অবহিতকরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য দেন চৌধুরী আশিক, তিনি জানান, এই কাঠামোগত সংস্কারটি বিডার দেশি ও বিদেশি সদস্য ও অংশীজনদের দীর্ঘদিনের পরামর্শের ফল হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিডা বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার ধাপগুলো অনুযায়ী নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক সংস্কার এনেছে। এর মাধ্যমে দায়িত্ব ও কর্তব্যের স্পষ্টতা বাড়বে, বিনিয়োগকারীদের জন্য সেবা আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে এবং সেবার মান পরিমাপের জন্য নতুন সূচক প্রবর্তন করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই কাঠামোগত সংস্কার সরকারের ৩২ দফা বিনিয়োগ সংস্কার কর্মপরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
চৌধুরী আশিক জানিয়েছেন, নতুন কাঠামো বিনিয়োগ চক্রের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। এই কাঠামো অনুসারে বিডিতে থাকবে পাঁচটি প্রধান বিভাগ বা উইং—ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন (বিনিয়োগের আকর্ষণ ও প্রবেশ পর্যায়), রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি (নীতি সহায়তা ও অ্যাডভোকেসি), অপারেশনস (বিনিয়োগ শুরু, সম্প্রসারণ ও ধারাবাহিকতা), ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট (বিনিয়োগ সেবা আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল সংস্কার) এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (প্রশাসনিক ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তা)।
তিনি আরও বলেন, বিডার নতুন কাঠামোগত সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এখন থেকে নির্বাহী সদস্য পদে বিডার নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও বেসরকারি খাতের পেশাজীবীদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা আগে শুধুমাত্র প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য সীমিত ছিল। এছাড়াও, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ও ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন শাখাগুলো পৃথক স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে গঠন করা হয়েছে। প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু ও খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি জাতীয় কমিটি দেশের সকল বিনিয়োগ সংস্থাকে সমন্বিত করে একটি একীভূত কাঠামো প্রণয়নের রোডম্যাপ প্রস্তুত করছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন খণ্ডিত সেবা না পেয়ে একক প্ল্যাটফর্ম থেকে সব প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন।






