‘টাকা আছে তাই বলে তুমি রাজা। টাকা নেই তাই হলেম আমি প্রজা।’ টাকা নিয়ে বাংলা ভাষায় রচিত হয়েছে এমন অনেক কবিতা-গান। জীবনে প্রয়োজন টাকার। অনেক ক্ষেত্রে কার কত টাকা আছে, সেই বিবেচনায় সম্মানও দেন আমাদের সমাজের মানুষ। অন্যদিকে টাকা বা অর্থই অনেক ক্ষেত্রে অনর্থের মূল হয়। যে যেভাবেই দেখুক, আমাদের জীবনে টাকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এই টাকা বা নিজস্ব নোট একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমের প্রতীক। যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে কাগজি টাকার প্রচলন শুরুর মাধ্যমে বিজয় মুকুটের উজ্জ্বল পালকটি যুক্ত হয় ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। প্রথম কাগজি টাকা প্রচলনের ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দ্বিতীয়বারের মতো এ বছর টাকা দিবস পালন করা হবে। দেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যাংক নোট ও মুদ্রাবিষয়ক তথ্য এবং গবেষণাধর্মী পত্রিকা কালেক্টার এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে কালেক্টার পত্রিকার ব্যবস্হাপনা সম্পাদক ও মুদ্রা সংগ্রাহক প্রকৌশলী এস এম আকিবুর রহমান বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম নিজস্ব নোট বা মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৫০তম বছর পার হয়েছে। আজ ৫১ পছরে পদার্পণ হচ্ছে। দিনটি স্মরণীয় রাখা ও টাকার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘৫০ বছর হলো নিজস্ব টাকার প্রচলন চালু হয়েছে, কিন্তু দিবসটি আলাদাভাবে পালন করা হয়নি। বিষয়টিকে কেউ সামনেও আনেনি। তাই প্রথমবারের মতো কালেক্টার পত্রিকার উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এজন্য দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’
জাতীয়ভাবে দিনটি পালন করার বিষয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই এ বিষয়ে সরকারিভাবে পালন ও স্বীকৃতির জন্য কাজ শুরু করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকেরও প্রাথমিক সম্মতি আছে বলে উল্লেখ করেন আকিবুর রহমান। তিনি বলেন, কোনো কাজের স্বীকৃতির জন্য কাউকে না কাউকে সামনে এগিয়ে আসতে হয়। এর আগে দিবস বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে কালেক্টারের পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪ মার্চকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘টাকা দিবস’ পালন করা হবে। বিশেষ দিনটি উপলক্ষে কালেক্টার পরিবার রাজধানীর ফার্মগেটে ৬৮ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার দুই দিনের বর্ণাঢ্য সংগ্রাহক মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে।